ব্রুনাইয়ের হাসপাতালে ৭ মাস ধরে পড়ে আছে শিপনের লাশ

শুভদিন অনলাইন রিপোর্টার:

গত প্রায় ৭ মাস ধরে ব্রুনাইয়ের রিফাজ হাসপাতালে প্রবাসী শিপন হাওলাদারের (৪৪) লাশ পড়ে আছে। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি (শিপন) গত ৩০ জানুয়ারি ব্রুনাইয়ের ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
প্রবাসী শিপন বরিশালের গৌরনদী উপজেলার শাহজিরা গ্রামের মৃত জয়নাল হাওলাদারের ছেলে ও ঋণগ্রস্ত দরিদ্র পরিবারের গৃহকর্তা।
পরিবারের আর্থিক সামর্থ্য না থাকায় ব্রুনাই থেকে শিপনের লাশ দেশে ফেরত আনতে পারছে না তার পরিবার। রেমিট্যান্স যোদ্ধা শিপন হাওলাদারের লাশ দেশে ফেরত আনার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মন্ত্রীর মর্যাদায় থাকা আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ এমপিসহ প্রবাসী কল্যাণ ব্যুরোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তার স্বজনরা।
প্রবাসে মারা যাওয়া শিপন হাওলাদারের স্ত্রী খোরশেদা বেগম (৩৫) জানান, পরিবারের অভাব-অনটন দূর করতে তার স্বামী শিপন হাওলাদার এনজিও ও স্থানীয়দের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে গত ২ বছর ৩ মাস পূর্বে ব্রুনাইতে গিয়েছিলেন। সেখানে প্রবাসী স্বামী শিপন ঘাস কাটার কাজ করতেন। গত জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময় কাজে গিয়ে হঠাৎ তার স্বামী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাৎক্ষণিক তাকে (শিপন) স্থানীয়রা ব্রুনাইয়ের রিফাজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
তিনি জানান, স্বামীর (শিপন) চিকিৎসার জন্য পুনরায় দেড় লাখ টাকা ঋণ করে বাংলাদেশ থেকে ব্রুনাই প্রবাসী শিপন হাওলাদারের ভাগ্নে মো. লালনের কাছে পাঠানো হয়। গত ৩০ জানুয়ারি ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার স্বামী (শিপন) মারা যান। প্রায় ৭ মাস ধরে শিপনের লাশ ব্রুনাইয়ের রিফাজ হাসপাতালে পড়ে থাকলেও আর্থিক সামর্থ্য না থাকায় দেশে আনতে পারছেন না তার পরিবার।
প্রবাসীর স্ত্রী খোরশেদা বেগম আরও জানান, ২ মাস আগে তিনি স্বামীর লাশ দেশে আনার জন্য ওয়েজ অনার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালকের কাছে লিখিত আবেদন করেন। আবেদন পাওয়ার পর সেখান থেকে তাকে মোবাইলে জানানো হয়- ব্রুনাইতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। কিন্তু এরপর তাকে (খোরশেদা) আর কোনো কিছুই জানানো হয়নি। তাই তিনি হতাশায় ভুগছেন।
শিপনের মরদেহ শেষবারের মতো দেখতে এবং তার জন্মভূমিতে দাফন করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বরিশাল-১ আসনের এমপি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহসহ প্রবাসী কল্যাণ ব্যুরোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্বজনরা। -যুগান্তর

Related posts

Leave a Comment